কিছু টিকা হাতে আর কিছু টিকা নিতম্বে দেওয়া হয় কেন?

নিশ্চয়ই জানেন, বিভিন্ন রকম রোগ থেকে বাঁচতে টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। তা সে করোনা হোক বা জলাতঙ্ক, অসংখ্য মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষের ভরসা হরেক রকমের টিকা। আর এই টিকা নিতে জামার হাতা তুলে হাত বা বাহু এগিয়ে দেওয়াই দস্তুর। তবে মাঝে মাঝে অবশ্য হাতে কাজ হয় না। টিকা দিতে হয় পশ্চাৎদেশে।

 

শুধু টিকাই নয়, বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জেকশন নেয়ার সময়ও মাঝে মধ্যে হাতের বদলে বেছে নেয়া হয় অন্য কোনো স্থান। কিন্তু কেন বাহুর বদলে অন্য স্থানে এই ধরনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় জানেন কি?

 

সাধারণত বাহুর যে স্থানে টিকা দেওয়া হয় সেই পেশিটির নাম ডেল্টয়েড পেশি। কিন্তু এই পেশিটি বেশি পরিমাণ ওষুধ গ্রহণ করতে পারে না। সাধারণত এক মিলিলিটার বা তার কম পরিমাণ ওষুধই এই পেশিতে দেওয়া হয়। তাই যখন বেশি পরিমাণ ওষুধ পেশির মধ্যে ইঞ্জেকশন মারফত দিতে হয়, তখন অন্য কোনো স্থানের প্রয়োজন পড়ে।

 

পশ্চাৎদেশের যে অংশে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, সেই পেশিটির নাম ভেন্ট্রো গ্লুটিয়াল পেশি। তবে ঠিক ‘নিতম্ব’ বলতে যা বোঝায়, এটি তার থেকে একটু পাশের দিকে অবস্থিত। এই পেশিটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ একটি স্থান। শরীরের এই অঞ্চলে বিশেষ কোনো গুরুত্বপূর্ণ রক্তবাহ কিংবা স্নায়ু থাকে না। ৭ মাস বয়সের পর থেকেই এখানে টিকা দেওয়া যেতে পারে। আগেকার দিনে নিতম্বের ডারসো গ্লুটিয়াল নামক পেশিতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হত। এখন আর চিকিৎসকরা সাধারণত এই পেশিতে টিকা দেন না। কারণ এই পেশির কাছেই থাকে সায়াটিক স্নায়ু। এই অংশে টিকাকরণের সময় এই স্নায়ুটির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ভারত বাংলাদেশ সফরে না এলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিসিবি!

» পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, রোধ হবে দুর্নীতি : মাসুদ সাঈদী

» ইনসাফ ও মর্যাদার বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছে এনসিপি : নাহিদ ইসলাম

» ‘কুলি’-তে আমির খানের রাফ লুক, ফার্স্ট লুকেই চমক

» ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ

» টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল, মৃত অন্তত ৬৩

» জয়ার সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করে যা বললেন অমিতাভ

» ‘বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না’

» গোলাম মাওলা রনি টেলিভিশন টকশোতে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন : প্রেসসচিব

» দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, ৭ নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কিছু টিকা হাতে আর কিছু টিকা নিতম্বে দেওয়া হয় কেন?

নিশ্চয়ই জানেন, বিভিন্ন রকম রোগ থেকে বাঁচতে টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। তা সে করোনা হোক বা জলাতঙ্ক, অসংখ্য মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষের ভরসা হরেক রকমের টিকা। আর এই টিকা নিতে জামার হাতা তুলে হাত বা বাহু এগিয়ে দেওয়াই দস্তুর। তবে মাঝে মাঝে অবশ্য হাতে কাজ হয় না। টিকা দিতে হয় পশ্চাৎদেশে।

 

শুধু টিকাই নয়, বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জেকশন নেয়ার সময়ও মাঝে মধ্যে হাতের বদলে বেছে নেয়া হয় অন্য কোনো স্থান। কিন্তু কেন বাহুর বদলে অন্য স্থানে এই ধরনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় জানেন কি?

 

সাধারণত বাহুর যে স্থানে টিকা দেওয়া হয় সেই পেশিটির নাম ডেল্টয়েড পেশি। কিন্তু এই পেশিটি বেশি পরিমাণ ওষুধ গ্রহণ করতে পারে না। সাধারণত এক মিলিলিটার বা তার কম পরিমাণ ওষুধই এই পেশিতে দেওয়া হয়। তাই যখন বেশি পরিমাণ ওষুধ পেশির মধ্যে ইঞ্জেকশন মারফত দিতে হয়, তখন অন্য কোনো স্থানের প্রয়োজন পড়ে।

 

পশ্চাৎদেশের যে অংশে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, সেই পেশিটির নাম ভেন্ট্রো গ্লুটিয়াল পেশি। তবে ঠিক ‘নিতম্ব’ বলতে যা বোঝায়, এটি তার থেকে একটু পাশের দিকে অবস্থিত। এই পেশিটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ একটি স্থান। শরীরের এই অঞ্চলে বিশেষ কোনো গুরুত্বপূর্ণ রক্তবাহ কিংবা স্নায়ু থাকে না। ৭ মাস বয়সের পর থেকেই এখানে টিকা দেওয়া যেতে পারে। আগেকার দিনে নিতম্বের ডারসো গ্লুটিয়াল নামক পেশিতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হত। এখন আর চিকিৎসকরা সাধারণত এই পেশিতে টিকা দেন না। কারণ এই পেশির কাছেই থাকে সায়াটিক স্নায়ু। এই অংশে টিকাকরণের সময় এই স্নায়ুটির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com